পালা বদল
-সুমিতা পয়ড়্যা
কে কাকে জানে না!
দিন যায়, রাত যায়, বাতাস বয়ে যায়
শুধু কত আসা যাওয়া, কত কানাকানি
কত দেখাদেখি, কত বলাবলি;
কত স্বপ্ন; কত ইশারা ওই চন্দ্র তারাদের
কত ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে
কত মেঘেরা এলোমেলো ভেসে বেড়ায়
কত বছরের জানা চেনা ভোরের আলো
কখনো আদরে আড়ালে সাড়া দেয়
কখনো অনাদরে খাপছাড়া।
বসন্তের শেষ প্রহরে সাত সতেরো মনে গাঁথা।
তার কত বছরের চেনা জানা অতীত!
কত খুঁজে বেড়ানোর এদিক ওদিক!
শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার!
সব ঝাপসা অস্পষ্ট দিনগুলো, রাতগুলো।
জবাব খুঁজে পায় না; শুধু ভাবনায় ভালোবাসা
ক্লান্ত প্রহরে ছড়িয়ে পড়ে,কাজে-অকাজে এসে ভিড় করে
এক দুর্লভ রত্ন!
সেখানে পালে লাগে হাওয়া।
দক্ষিণ সমীরণে এক চিলতে রোদ্দুরের ছটায় চুম্বিত পৃথ্বী।
নিয়ন্ত্রনের রাঙা চিঠি হৃদয়ে তাল তোলে
কেঁপে ওঠে রজনীগন্ধা
ধূসর জগতে বাহিরে আলোর আঙিনা।
আকাশে ওঠে কালপুরুষ,সপ্তর্ষি।
অচেনা, অদেখা ভুবন ভ্রমন করতে থাকে মন,
বৃষ্টি আসে ক্লান্ত হয়
কোন এক দমকা হাওয়া মনকে মাতাল করে,
অন্তরের আলিঙ্গনে অন্তরে পুণ্যস্নান করে,
এক অস্থিরতা সৃষ্টি করে;
আঁখিভরা হাসি মুখ জীবন জুড়ায়।
তুমি সেই সত্য নীরব মাঝারে।
তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া ষোলো আনা।
চার বছরের চেনা জানা এক মুঠো রোদ্দুর
সত্যিকারের ভালোবাসা, অপেক্ষার ভালোবাসা
অনুভবের ভালোবাসা, বিভোর হয়ে থাকার ভালোবাসা—
যা আমৃত্যু দীর্ঘশ্বাসের শুভক্ষণ।
অতি চমত্কার